ব্যক্তিত্ব মনোবিজ্ঞান

ব্যক্তিত্ব মনোবিজ্ঞান। ব্যক্তিত্ব এবং এর গঠনের অনেক সংজ্ঞা রয়েছে। তবে, যদি আমরা তাদের কয়েকটি সংক্ষেপে বর্ণনা করি, তাহলে দেখা যাবে যে ব্যক্তিত্ব হল ব্যক্তিগত গুণাবলী এবং সামাজিক বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণ, সেইসাথে সমাজের মধ্যে সম্পর্ক এবং কর্মকাণ্ড, যা একজন ব্যক্তির লালন-পালনের সময় গঠিত হয়। ব্যক্তিত্ব কাঠামোর উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে মেজাজ, চরিত্র, চাহিদা, উদ্দেশ্য, আগ্রহ, লক্ষ্য, ক্ষমতা, বিশ্বদৃষ্টি, আকাঙ্ক্ষার স্তর এবং আত্মসম্মান। আত্মসম্মান একটি কেন্দ্রীয় উপাদান, কারণ এটি একজন ব্যক্তির নিজের প্রতি এবং তার নিজস্ব ক্ষমতা এবং সম্ভাবনার প্রতি মনোভাব নির্ধারণ করে - অর্থাৎ, তার অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক গুণাবলী - এবং অন্যদের প্রতি তার মনোভাবও নির্ধারণ করে।

মেজাজ এবং চরিত্র একজন ব্যক্তি, তার কার্যকলাপের স্তর এবং জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করে। উদ্দেশ্য, চাহিদা, লক্ষ্য এবং আগ্রহ হল গতিবিধির বাহক। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে ব্যক্তিত্ব কাঠামোর উপাদানগুলিকে অভ্যন্তরীণ মনস্তাত্ত্বিক এবং বাহ্যিক সামাজিক দিকগুলিতে ভাগ করা যেতে পারে। সামাজিক দিকটি একটি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে, কারণ আমরা সমাজের বাইরে থাকতে পারি না। গবেষণার বিষয় হিসাবে ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত জটিল এবং বহুমুখী। ব্যক্তিত্ব স্বতন্ত্র এবং ব্যাখ্যা করা কঠিন। আজ পর্যন্ত, ব্যক্তিত্বের এমন কোনও তত্ত্ব নেই যা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে বা সামগ্রিকভাবে ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা করতে পারে। প্রতিটি তত্ত্ব ব্যক্তিত্বকে একটি নির্দিষ্ট উপাদানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে, যার ফলে একে অপরের পরিপূরক হয়।